ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ | Freelancing In 2023

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে আপনি জানেন কি, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হলো ফ্রিল্যান্সিং। Fiverr, Upwork and Freelance মার্কেটপ্লেস গুলিতে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যে যেই কাজে পারদর্শী সে সেই কাজেই করে থাকে। আবার যার কাছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজ সহজ মনে হয় সেটির প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে।

নতুন করে যারা ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে চান তাদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি ২০২৩ এই বিষয়ে তা জানা জরুরী। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বর্তমানে কোন কোন কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন এই সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদেরকে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

আশা করব আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখি নেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

পোস্ট সুচিপত্র

ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ এই বিষয়ে জানার আগে প্রথমেই জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি এবং কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। Freelancing সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা অর্জনের জন্য জেনে রাখুন ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি।

ফ্রিল্যান্সিং হলো একজন কর্মীর স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে একজন কর্মী তার ঘরে বসে নিজের ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। তার কাজের নির্ধারিত কোন সময় থাকে না সে দিনে রাত্রে যেকোন সময় ইচ্ছামত কাজ করতে পারে।

যদি কোন ফ্রিল্যান্সার কোন বায়ারের কাজ নির্দিষ্ট দিনে জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলে সে তার ইচ্ছামত সময়ে কাজ করে নির্দিষ্ট দিনে কাজ জমা দিলে বায়ার তাকে পেমেন্ট করে।

তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে জিনিসগুলো একজন ব্যক্তির আবশ্যিক থাকতে হবে সেটি হলো ইন্টারনেট সংযোগ, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আর ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2023

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩

এখন আসি আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনায় ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে।

তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেই কাজের ক্ষেত্রে বেশি ইনকাম করা যায় সেই কাজটিরই চাহিদা বেশি। অর্থাৎ কপিরাইটার, ওয়েব ডেভেলপার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি কাজগুলোতে যদি দক্ষতা অর্জন করে ভালো ভাবে কাজ করা যায় তাহলে আর্নিং বেশি হয়।

যার কারণে অনেকেই এই কাজগুলোর প্রতি আগ্রহী থাকে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে এই কাজগুলোর চাহিদা বেশি থাকে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:

১)কন্টেন্ট রাইটিং (content writing)

কনটেন্ট রাইটিং বর্তমানে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ। এই কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সংবাদ প্রকাশনা, ম্যাগাজিন, কর্পোরেট‌ নিউজলেটার, ব্যবসা অথবা বিভিন্ন ব্লগ সম্পর্কে লিখা হয়।

এমনকি আপনি এখন এই লিখাটি পড়ছেন এটিও একটি কন্টেন্ট রাইটিং। বর্তমানে অনেকেই এই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে এই কাজের মাধ্যমে মোটামুটি ভালো টাকা রোজগার করতে পারে।

বর্তমানে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার বেসিক কিছু নলেজের প্রয়োজন, যে নলেজ গুলো আপনি খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

Content writing করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনাকে জানা প্রয়োজন হবে সেগুলোর সটলিস্ট-

  • ফোকাস কিওয়ার্ড
  • রিলেটেড কিওয়ার্ড
  • অন পেজ এসইও
  • ইউজার এক্সপিরিয়েন্স
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (বেসিক)

২) ভিডিও এডিটিং (Video editing)

বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও করে অনেক মানুষ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করছে। এসব ভিডিও কেউ ব্লগ আকারে, কেউ নাটক আকারে, কেউ কেউ বিনোদনের জন্য পাবলিশ করে থাকে।

তবে এই সকল ভিডিওতে এডিটিং করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা ফ্রিল্যান্সাররা সম্পন্ন করে থাকে। আর তাই ভিডিও এডিটিং এর কাজে বর্তমানে অনেক চাহিদা।

শুরুতে একজন ইউটিউবার Video editing এর কাজগুলো নিজে করলেও, যখন তার ইউটিউব চ্যানেলটি বড় হয় তখন তার একাধিক ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন পড়ে।

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ খুঁজছেন তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে সামনের দিনগুলোতে প্রচুর ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন পড়বে।

কেননা সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হবে এবং লোকেরা ইউটিউবে নিজের স্কিল প্রদর্শন করে টাকা ইনকাম করবে।

৩) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate marketing )

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশনের আশায় অন্যের পণ্যের প্রচার-প্রচারণা করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। সঠিক নিয়মে এফিলেট মার্কেটিং করলে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যেই টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

এটি খুবই সহজ কাজ যার কারণে এই কাজের চাহিদা অনেক, তবে এফিলেট মার্কেটিং থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হতে হবে। কেননা বাংলা কন্টেন্ট তৈরি করে এফিলেট মার্কেটিং করার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই।

আপনি যদি ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন অথবা কোন জিনিসের ভালো রিভিউ দিতে পারেন, সেটা ইউটিউবের মাধ্যমে হতে পারে, ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে হতে পারে তাহলে সহজেই আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৪) ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট ( WordPress expert)

বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। গুগলে আপনারা যে বিভিন্ন প্রকার ব্লগ বা ওয়েবসাইট দেখতে পান এই ওয়েবসাইটের অধিকাংশই তৈরি হয় ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়ারের দ্বারা।

যার কারণে এই ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়ারে দক্ষতা অর্জন করে অনেকেই কাজ করছে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।

ওয়ার্ডপ্রেস কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) অনেক বড় একটি ক্যাটাগরি, এটিকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে বিভক্ত করেও আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত যে সকল কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন, থিম কাস্টমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েবসাইট report, WordPress frontend design, ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাক এন্ড ডিজাইন ইত্যাদি।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ সম্পর্কে চিন্তিত না হয় এখনই ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত কাজ শিখা শুরু করে দিতে পারেন।

আপনি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডপ্রেস কাজ শিখতে এক বৎসরের মত সময় লাগবে, তবে ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ছোট ছোট কাজ রয়েছে আপনি ফাইবার আপ ওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস খুজলে অনেক কাজ পাবেন।

আরও পড়ুনঃ

ব্লগিং কিভাবে শিখব

ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়

৫) ওয়েব ডিজাইন (web design)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অংশ হিসেবে ওয়েব ডিজাইন একটি অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং কাজ। বাংলাদেশে অনেকেই বর্তমানে এই ওয়েব ডিজাইনের কাজে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করছে।

ওয়েব ডিজাইনেররা সাধারণত ডেস্কটপ অথবা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে ওয়েবসাইটের জন্য লেআউট তৈরি করে। খুব সহজেই অনলাইনে এখন এই ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখে আপনি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন। অনেক ওয়েব ডিজাইনাররা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজেও দক্ষ হয়।

৬) অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (application development)

ফ্রিল্যান্সার কাজের মধ্যেও এই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কাজের বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কেননা বর্তমানে প্রায় প্রতিটি কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যাপ তৈরি করছে।

ব্যবসায়িক কাজগুলোর প্রচারের জন্য এবং ব্যক্তিগত কাজেও অনেকে এক ডেভেলপমেন্ট করিয়ে থাকেন। তাই এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কাজে পারদর্শীরা মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপস ব্যবহারের জন্য কাজ করে থাকে।

এবং এই সেক্টর থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করে থাকে, আপনি ইউটিউবে এমন অনেক অ্যাপ ডেভেলপারদেরকে খুঁজে পাবেন যারা প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।

৭) ব্যানার অ্যাড ডিজাইনার (banner add designer)

বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রচারণার উদ্দেশ্যে ফ্রিল্যান্সারের মাধ্যমে ব্যানার অ্যাড ডিজাইন করা হয়। কেননা সুন্দর একটি ব্যানার অ্যাড বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোকেদের কাছে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানান দেয়া হয়।

বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বিজনেসে এটি অনেক চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ। যদি কোন ফ্রিল্যান্সার এই কাজে দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে সে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৮) ট্রান্সলেটর (Translator)

অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ট্রান্সলেটর কাজে দক্ষ। এখানে আপনার কাজ হচ্ছে কোন কনটেন্টকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা। এক্ষেত্রে কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় পরিবর্তনের কাজ বেশি পাওয়া যায়।

এটিও ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যার চাহিদা বর্তমানে অনেক। ধীরে ধীরে প্রতিটি কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে একাধিক ভাষায় ওয়েব সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করছে।

তাই খুব সহজেই কেউ ট্রান্সলেটটিং এর ওপরে দক্ষতা অর্জন করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

SEO কি?। এসইও কিভাবে করে

Best 11 Online Taka Income

৯) লিড জেনারেশন ( Lead Generation)

ফ্রিল্যান্সিং জগতে লিড জেনারেশন কাজটি খুবই সহজে একটি কাজ। এই কাজে যদি আপনি মনোযোগী হয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডেডিকেশনের সাথে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই এই কাজে আপনার ক্যারিয়ারের আপনি সফল হবেন।

লিড জেনারেশন হচ্ছে কোন কোম্পানিকে তার পণ্য বা সেবা বিক্রিতে সহায়তা করা, আপনি কোম্পানিকে যত বেশি সেল এনে দিতে পারবেন আপনার কমিশন তত বেশি পাবার সম্ভাবনা রয়েছ।

সেই সাথে আপনি একই সাথে একাধিক কোম্পানিতে মাসিক চুক্তিতে লিড জেনারেশন কাজ করতে পারবেন।

যার কারণে অনেকেই বর্তমানে এই কাজের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আপনি যদি এখনো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ খুঁজে না পান তাহলে বলব লিড জেনারেশন সম্পর্কে শিখতে শুরু করুন আজি।

১০) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( Search Engine Optimization)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বলতে বোঝানো হয় কোন ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চে প্রথম পেইজে দেখানোর জন্য কাজ করা। যে হারে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, সেই অনুপাতে এখনো ওই পরিমাণে দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে না।

আপনি যদি এসইও পূর্ণাঙ্গ শিখতে পারেন তাহলে সামনের দিনগুলোতে অনেক কাজ পাবেন।

এটি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের বায়ের কিংবা ক্লায়েন্টের জন্য করে থাকে। এই কাজে ক্লায়েন্টের উদ্দেশ্য থাকে তার ওয়েবসাইট গুলোর প্রথম পেজে রেংক করবে এবং তার ওয়েবসাইটে প্রচুর অর্গানিক ভিজিটর আসবে।

যারা এই কাজের দক্ষ তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে মোটামুটি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও রেজাল্ট একদিনে নিয়ে আসার সম্ভব নয়, তাই বায়াররা মাসিক চুক্তিতে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে এই কাজের জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ আপনারা যারা খুজছেন তাদেরকে বলব দ্রুত সময়ে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে এসইও শুরু করুন।

১১) গ্রাফিক ডিজাইন ( Graphic Design)

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্য সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে এই গ্রাফিক ডিজাইন কাজের। যদিও বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গঠন করা খুবই কষ্টকর, কেননা বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে প্রচুর গ্রাফিক ডিজাইনার রয়েছে।

তথাপিও আপনি যদি একজন ভালো মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না।

গ্রাফিক ডিজাইনরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রদর্শনের জন্য ডিজাইন করে থাকে। আর যেহেতু বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় তাই এই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজও অনেক বেশি।

সবচেয়ে সহজ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলি কি কি?

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ খুঁজছেন তাদের এতক্ষণ যে 11 টি বিষয়ে আলোচনা করলাম সেগুলোর মধ্য থেকে একটি পছন্দ করা উচিত।

তবে বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজ গুলো সহজ এমন কাজ খুজে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ সহজ বা কঠিন কোনটা তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। একেক জন একেক কাজের পারদর্শী হয়।

কার কাছে কোনটা সহজ মনে হবে সেটা তার প্রশিক্ষণের সময়ই তিনি বুঝতে পারেন। তবে কিছু কিছু কাজকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সহজ মনে করা হয়। যেমন:

*ডাটা এন্ট্রি।
*সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
*ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
*ট্রান্সলেটর।
*কন্টেন্ট রাইটিং।
*ফটোগ্রাফার।
*ভিডিও এডিটর।
*ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ তৈরী
* ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট থিম কাস্টমাইজেশন

এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্য তুলনামূলক একটু সহজ মনে করা হয়। তবে সকল কাজের ক্ষেত্রেই মনোযোগী হয়ে প্রশিক্ষণ নিলে তা সহজ হয়ে যায়।

ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনারা যারা এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ পোস্টটি পড়েছেন তাদের জন্য কিছু স্পেশাল টিপস রয়েছে।

আপনাদের সাহায্য করার লক্ষ্যে আমরা আরো জানাতে চাই ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে অনলাইনে।

ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সারদের কর্মক্ষেত্র আরও বড় হবে, তবে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোতে কাজের সংখ্যা কমে যাবে।

আবার অনেক ক্যাটাগরির রয়েছে যেগুলোতে অফার সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2023 এই পোস্টে আমরা আপনাদের বোনাস হিসেবে পাঁচটি এমন ভবিষ্যৎ মুখি কাজের কথা বলবো যা আপনার এখনি জানা দরকার।

1# ChatGPT & AI – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা চ্যাট জিপিটি

যেখানে আপনি AI-Powered SEO, Marketing এবং Productivity নিয়ে আজই কাজ শুরু করতে পারেন। সামনের দিনগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (AI) দ্বারা অনেক কার্যক্রম সংঘটিত হবে।

2# JavaScript, CSS, and HTML – জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএস এবং এইচটিএমএল

এই ক্যাটাগরিতে এখনো অনেক কাজ রয়েছে ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই আপনি Javascript বিষয়ে Web Development Fundamentals শিখতে পারেন, সেই সাথে আরো রয়েছে The JavaScript Toolkit, যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার Write Cleaner, Faster এবং Better Code ব্যবহার নিয়ে কাজ করবেন।

3# Project Management – প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট

বাস্তব জীবন থেকে অনলাইন কেরিয়ার সকল ক্ষেত্রেই মানুষকে একটি রোড ম্যাপ মেনে চলতে হয় সফলতা অর্জনের জন্য। তাই Project Management সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি প্রাধান্য পাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।

4# Data Science & Analysis – ডাটা এনালাইস এবং এনালাইসিস

প্রতিদিন ইন্টারনেটে লক্ষ লক্ষ বিষয়ে google search হচ্ছে হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ নতুন পণ্য আসছে। ইন্টারনেট ব্যবহারিতকারীদেরকে সেরা এক্সপেরিয়েন্স দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিগুলো কাজ করা যাচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোর কাজ হচ্ছে ডাটা এনালাইজড করে সঠিক ডেটা সমন্বয় করা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পায়। সেইসাথে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অগ্রগতি ও সেল বৃদ্ধিতে কাজে লাগায় এই ডাটা গুলো।

5# Administrative Assistance – প্রশাসনিক সহকারী

প্রশাসনিক সহকারীরা বাস্তব জীবনে থাকলেও বর্তমানে অনলাইনেও চলে হচ্ছে এমনটা, তাদের বলা হয়ে থাকে Administrative Assistance

একজন প্রশাসনিক সহকারী বা Administrative Assistance হিসাবে, আপনার কাজ হল ক্লায়েন্টদের দেখাশোনা করা, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করা, আপনার টিমের উপর নজর রাখা, ভার্চুয়াল সহায়তা, হিসাবরক্ষণ এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ অফার করা।

যদিও Administrative Assistance কাজটি অনেকের কাছেই সহজ মনে হতে পারে, এই কাজের জন্য প্রয়োজন প্রচুর দক্ষতা এবং মাল্টিটাস্ক করার ক্ষমতা যা আপনার কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি যদি চিন্তা করেন তবে উপরে উল্লেখিত কাজগুলি আজ থেকেই শিখা শুরু করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ

Best GP Bundle Offer 30 Days

Best GP Call Rate Offer 2023

ব্লগ পোস্ট কি? Blog Post কিভাবে লিখতে হয়

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো?

আমরা এতক্ষণ আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। তবে আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন এই বিষয়টি একান্তই নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর।

আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করেন তাহলে জানতে পাবেন এমন অনেকেই আছে যারা ইউটিউব ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখেছেন এবং বর্তমানে মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর কাজ পাচ্ছেন এবং টাকা ইনকাম করছেন।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখা যায়। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বর্তমানে অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে। আবার অনলাইনে ঘরে বসে ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন খুব সহজে। তার জন্য শুধুমাত্র আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিংবা কম্পিউটার, ল্যাপটপ থাকলেই চলবে।

এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অনলাইন ভিত্তিক কাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সরকারি অর্থায়নে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখিয়ে থাকেন।

আপনি “লার্নিং এন্ড আর্নিং”প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে এই কোর্স করতে পারবেন। এই কোর্সের মধ্যে আপনি শিখতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপিং, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরো বেশ কিছু কোর্স খুব কম খরচে।

এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকে। সামান্য কিছু টাকা দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হতে পারেন এইসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদেরকে বলব, অবশ্যই আপনি আপনার নিজের মেধাকে আগে প্রাধান্য দিবেন।

আপনি যদি কোন কাজে পারদর্শী না হতে পারেন তাহলে ওই কাজ আপনি করতে যাবেন না সে ক্ষেত্রে আপনার সুফল এর চেয়ে কুফলই বেশি হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় আপনি যেটি পারবেন অথবা যেই কোর্সটি আপনার দ্বারা সম্ভব আপনি সেটি বাছাই করে নিবেন।

তাই ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব এই প্রশ্নটি করার আগে অবশ্যই আপনার আগ্রহের বিষয়টি নির্বাচন করুন। আপনার যেই বিষয়টি ভালো লাগে ঐ বিষয়ে কোথায় ভালো ফ্রিল্যান্সিং শিখানো হয় সেই খোঁজখবর নিন।

এছাড়াও আপনি ইউটিউবে সহায়তা নিতে পারেন, ইউটিউব আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখার প্রথম পদক্ষেপটি শিখিয়ে দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।

আমি একজন ব্লগার, একটি ব্লক তৈরি করা থেকে শুরু করে একটি ব্লগ গুগলের রং করানো এবং ব্লগ সেটিং করা কাস্টমাইজেশন করা সকল কিছুই আমি ইউটিউব দেখে শিখেছি।

আপনি চাইলে আপনিও ইউটিউব ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2023 FAQS

মোবাইল দিয়ে কি কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?

মোবাইলের মাধ্যমে ও ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজ করা যায়। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ও ঘরে বসে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। তবে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে সময় একটু বেশি লাগে। ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ডাটা এন্ট্রিএটা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি?

ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো এমন একটি কাজ যা একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে করতে পারে। অর্থাৎ ঘরে বসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দিনের আবার রাতের যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত সে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবে এবং অনায়াসে অনেক টাকা রোজগার করতে পারে।

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কত ডলারের বাজার রয়েছে?

সারাবিশ্বে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজার রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2023?

ফ্রিল্যান্সিং যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজগুলি হচ্ছে content writing, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ও এফিলেট মার্কেটিং ইত্যাদি।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় ভিজিটের বন্ধুরা ইতিমধ্যেই আপনারা আমাদের আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩ এই সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আপনাদের জন্য একটি প্রো টিপস দিচ্ছি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি না খুঁজে আপনি আপনার পছন্দের কাজে মনোনিবেশ করুন এবং ওই বিষয়ে আরো বেশি শিখতে থাকুন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি মূলত কোন বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে কোন কাজটি আপনি পূর্ণাঙ্গ ভাবে দক্ষতার সহিত করতে পারবেন সেটি।

এমন আরো শিক্ষামূলক নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আজকের মতো এ পর্যন্তই। সকলের সুস্থতা কামনা করি।

Leave a Comment