ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায়

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট হলো বিশ্বব্যাপী একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন প্রকারের তথ্য, ডেটা, এবং সেবা সরবরাহ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তথ্য অবলম্বন, তথ্য প্রেরণ, ডেটা সংগ্রহ, গেমিং, ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট শপিং, ব্লগিং, ওয়েব সার্চ, এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রকারের সেবা প্রদান করা হয়।

এই নিবন্ধের মাধ্যমে ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায় আর্টিকেলে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে পারি ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক, যা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে প্রথম প্রযুক্তি হিসেবে শুরু হয়েছিল। এই নেটওয়ার্ক বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের কম্পিউটারগুলি যোগ করে। 

এই কম্পিউটারগুলি প্রতিটি কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার হয়, যাতে একটি কম্পিউটার থেকে অন্যটির ডেটা, তথ্য, বা অন্যান্য ধরণের তথ্য অনুমতি পায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়, সরকার, শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, সাহিত্য, চিত্রকলা, বিনোদন, খেলাধুলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য অনুসন্ধান করা, প্রকাশ করা, এবং ভাগ করা যায়।

ইন্টারনেট একটি খুব বড় তথ্য খাজানা বা ভান্ডার যার মাধ্যমে মানুষ বিশ্বের যে কোন জায়গায় বসে তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ করতে পারে। 

ইন্টারনেট সৃষ্টির রহস্য

ইন্টারনেটের সৃষ্টি কোনো আকর্ষিক ঘটনা নয়, এর বিকাশ সময়ের সাথে সাথে সম্প্রসারিত পেয়েছে। ইন্টারনেটের জন্মের নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য নেই। তবে ইন্টারনেটের উৎপত্তি এবং বিকাশ সাথে যোগকারী কিছু মুখ্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষ্যে আমরা একটি সারসংক্ষেপে আলোচনা করতে পারি,

  • সুযোগ এবং অসুযোগ: ইন্টারনেটের জন্ম সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে এটিকে কৌশলের প্রসারের একটি উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিকাশ: ইন্টারনেটের জন্ম সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিকাশ। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উপযোগী কৌশলের প্রবৃদ্ধি, ইন্টারনেটের মৌলিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। 
  • প্রোটোকল এবং স্ট্যান্ডার্ড: ইন্টারনেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভিন্ন ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক সমমূল্যে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য প্রোটোকল এবং স্ট্যান্ডার্ডের নির্মাণ। এই স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
  • আপেক্ষিকতা: ইন্টারনেট আপেক্ষিকতা প্রদান করে, যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দূরস্থ স্থানের ডিভাইসের মধ্যে ডেটা এবং তথ্য সরবরাহ করা যায়।
  • ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW): টিম বার্ণাস-লি এবং কার্নার্স লি এই দুটি ব্যক্তির একটি প্রয়োজনীয় উপাদান ছিল ইন্টারনেটের জন্মে, যা পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটে তথ্যের খোঁজ করতে এবং তথ্য প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। 

সারাদুনিয়ায় ইন্টারনেটের বিকাশে কোন নির্দিষ্ট রহস্যময় ঘটনা বা সৃষ্টির নির্দিষ্ট রহস্য উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট কি তা আপনাদের পরিষ্কার হয়েছে এই নিবন্ধের মাধ্যমে।

তাই বলা যায় ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায় এর সারাংশ হল ইন্টারনেট একটি মানব তত্ত্ব এবং প্রযুক্তির প্রগতির ফলস্বরূপে নির্মাণ হয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং আসুবিধা 

অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল

প্রতিটি জিনিসের উপকারী ও অপকারী দুইটি দিক রয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং আসুবিধা একই সাথে আসতে পারে।

এই এই দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি মাধ্যমে বিশ্বের যেখানেই যাওয়া যায়, তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। এটি জগতের জানালা খুলে দেয়, জানতে পারার সুযোগ সৃষ্টি করে, প্রযুক্তিগত উন্নতি এনে দেয়, আর বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ বিপ্লব ঘটায়।

বর্তমান সময়ে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা লেখ এমন প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা – ইন্টারনেট ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা লেখ

  • জ্ঞান অর্জন: ইন্টারনেট দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যের আধারে লোকদের নতুন জ্ঞান অর্জন করতে সহায়ক হয়ে থাকে।
  • অনলাইন মাধ্যম:  ইন্টারনেটে অনলাইন মাধ্যম করার দ্বারা অনেক কাজ সহজে করে থাকি, যেমন খাদ্য অর্ডার করা, বিপণি করা, বিজ্ঞান করা, বিল পরিশোধ করা ইত্যাদি।
  • যোগাযোগ: ইন্টারনেট দ্বারা লোকদের পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ হয়ে গিয়েছে এবং ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।   
  • ব্যবসায়িক উন্নতি: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রোডাক্ট এবং সেবা প্রচার করতে পারে এবং নতুন ক্রেতা পাওয়া সম্ভব হয়।
  • শিক্ষার সুযোগ: ইন্টারনেট দ্বারা শিক্ষা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে, যা আমাদের সহযোগিতা ও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের আসুবিধা ( অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল)

অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনি নিন্মুক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারেন।

  • প্রজ্ঞাপন এবং গোপনীয়তা: ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় প্রজ্ঞাপন এবং গোপনীয়তা সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয়।
  • সাইবার অপরাধ: ইন্টারনেটে হ্যাকিং, পাসওয়ার্ড চুরি, পারসোনাল তথ্য চুরি ইত্যাদি সাইবার অপরাধের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
  • স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা: ইন্টারনেট ব্যবহারে অতিরিক্ত সময় কাটানো হলে শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
  • মিথ্যা তথ্য এবং বিপর্যন্ত প্রতিক্রিয়া: ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য এবং বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।  

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ইন্টারনেট কি? এবং ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে,

তবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজেদের বাস্তব জীবনে পরিবর্তন ঘটাতে তখনই সক্ষম হব যখন আপনার সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে জানব।

আরও পড়ুনঃ

আজকের রবি ইন্টারনেট অফার ২০২৩

All Robi Minute Pack 30 Days 

রবি লোন নেওয়ার কোড

ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম

ইন্টারনেট সম্পর্কে আরো পরিষ্কারভাবে বুঝাতে বুঝতে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া যেতে পারে:

ডিভাইস যোগাযোগ: ইন্টারনেটে যোগাযোগ করার জন্য একটি ডিভাইস প্রয়োজন, যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট টিভি, ডিজিটাল ক্যামেরা, ইথারনেট মোডেম, ব্রডব্যান্ড রাউটার ইত্যাদি।

ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্ত করা: ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্ত করতে আপনি একটি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে হবে। যেমন- কেবল মডেম প্রদানকারী, ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারী, মোবাইল অপারেটর, এবং আপনার অঞ্চলে উপলব্ধ অন্যান্য ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী।

ইন্টারনেট একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশের কম্পিউটার এবং ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করে। এই নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করে আপনি ওয়েব পৃষ্ঠা, ইমেল, অনলাইন চ্যাট, ফাইল, ভিডিও, অডিও এবং অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্য পাঠাতে পারেন।

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায়  এ ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ইন্টারনেটের কাজ করার জন্য, নেটওয়ার্কের সাহায্যে তথ্য প্রেরণ ও প্রাপ্তি হয় যেটি আপনার কম্পিউটার বা অন্য ডিভাইসের মাধ্যমে সাম্পাদিক হয়।

ইন্টারনেটের কাজের মৌলিক প্রক্রিয়া নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

ইন্টারনেট কি আপনার আপনাদের যে তথ্যগুলো প্রদান করেছি তা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, এক্ষেত্রে আপনাদের সাহায্যে ইন্টারনেটে কাজের মৌলিক প্রক্রিয়া কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে ও আপনার জানা দরকার তাই এই সেকশনটি তৈরি করা হয়েছে।

  • ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন: আপনি যত্ন নেওয়া একটি ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হয়, যেটি আপনার কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, বা অন্য কোন ডিভাইস এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকতে সাহায্য করে। সাধারণভাবে, আপনি একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী (ISP) থেকে সাবস্ক্রাইব করে ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্ত করতে পারেন।
  • ডোমেন নাম সিস্টেম (DNS): এটি হলো একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেটে একটি ডিভাইসের নামকরণ থাকলে ঠিকমতো বা আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  • সিকিউর (HTTPS): এটি ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভারের মধ্যে ডেটা পাঠানোর প্রোটোকল হিসেবে কাজ করে।  HTTPS ডেটা এনক্রিপ্ট করে রেখে তথ্য নিরাপদ রাখে।
  • ওয়েব ব্রাউজার: ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার যা ইন্টারনেটে সার্চ করতে, ওয়েব পেজ দেখতে, ইমেল পাঠাতে এবং আরও অনেক কিছু করতে সাহায্য করে। পরিচিত ওয়েব ব্রাউজার হলো Google Chrome, Mozilla Firefox, Safari, এবং Microsoft Edge

আরও পড়ুনঃ

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড কত?

Airtel Bundle Offer 30 Days 2023

শেষ কথা 

আশা করছি ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট বলতে কি বুঝায় আরটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরেছেন। যদি পরে থাকেন তাহলে আপনার এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না। 

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুব কম সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংব্লগিং এর কাজগুলো করে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করছে লোকেরা আপনি যদি ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন।

তারপরও যদি আপনার কোনো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। 
সব বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে।

Leave a Comment